<![CDATA[
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে সৃষ্ট দেশীয় মার্কেট অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘১৩০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ২৫০০-এর বেশি প্রযুক্তিখাত ও ২৫০০-এর বেশি নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে বাংলাদেশে একটি ডিজিটাল মার্কেট তৈরি হয়েছে। এটি অর্থনীতির উন্নতি করতে সক্ষম।’
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ‘রাইজিং ইউএস ডলার ফাইভ বিলিয়ন আইসিটি এক্সপোর্ট আর্নিং বাই 2025’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন। ২০২৩-এ এসে আমরা সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পাশাপাশি আরও অনেকক্ষেত্রে এগিয়ে গেছি। প্রযুক্তির জোরে বাংলাদেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস যেমন- নগদবিহীন লেনদেন, অনলাইন মার্কেট ইত্যাদি এ দেশে বিস্তার লাভ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রযুক্তিখাতের রফতানিতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম। সামনের সময়ে দেশের আরও উন্নয়ন হবে। প্রযুক্তিখাত রফতানিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আইসিটিতে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করবে
রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চলছে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের সম্মেলন। চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ সম্মেলনের আজ (রোববার) শেষ দিনে ছিল রপতানি বিষয়ক এ সেমিনার।
সেমিনারে বেসিসের স্ট্যাডিং কমিটির আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়নের চেয়ারম্যান টি আই এম নূরুল কবির বলেন, ‘পাঁচ বিলিয়ন ডলারের যে লক্ষ্য, তা অর্জনে অনেক বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি এবং কানেকটিভিটি। জনশক্তি যেমন প্রয়োজন, তেমনি হাইস্পিড ইন্টারনেট প্রয়োজন কানেকটিভিটির জন্য।’
আই ট্রেইন গ্রুপের কো-ফাউন্ডার এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডাটো এরিক কিউ-ই-ফি বলেন, ‘আই ট্রেইনের ব্যবসা হচ্ছে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট। বাংলাদেশে প্রচুর ট্যালেন্ট রয়েছে। এই ট্যলেন্টগুলো নিয়ে কাজ করতেই বাংলাদেশে এসেছি।’
আরও পড়ুন: আইটিখাতে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ইউনাইটেড ইনডিপেন্ডেন্ট পেট্রোলিয়াম মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (ইউএনআইপিইটি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেক্সার রিলেই বলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিটি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে আইসিটির অনেক রাইজিং স্টার রয়েছে।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ডিরেক্টর রাশেদ কবির বলেন, ‘আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, সে হিসাবে ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবো। তবে আমাদের স্কিল গ্যাপ রয়েছে। আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। বেসিস সে লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে সরকারের সঙ্গে এবং একাডেমিয়া (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান)-এর সঙ্গেও কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: ১০০ কর্মীকে গাড়ি উপহার দিল চেন্নাইয়ের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আমরা উন্নতি করছি। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা কাজ করছি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ আমাদের নানান উদ্যোগ রয়েছে, যেগুলোর জন্য আমরা কাজ করছি।’
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির বলেন, ‘বাংলাদেশ অসম্ভব উন্নতি করছে। আরও উন্নয়ন করবে বলে আমি আশাবাদী। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের সমস্যাগুলো বের করে সেগুলো ওভারকাম করতে হবে।’
]]>