<![CDATA[
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে রাজনা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দিরাই মদনপুর সড়কের পাশে একটি ঝোপ থেকে ওই ছাত্রীর ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা ও বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাজনা আক্তার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া মোড়লবাড়িপাড়ার মুদি দোকানদার ইসরাইল মিয়ার মেয়ে। সে পাথারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুকুরে ডুবে তিন স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
স্বজনরা জানান, ভোরে রাজনা আক্তার প্রকৃতিরডাকে সাড়া দিতে বসতঘরের পেছনে বাথরুমে যায়। দীর্ঘ সময় পরও ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন বাথরুমে গিয়ে দেখে রাজনা আক্তার সেখানে নেই। পরে দিরাই ও শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় শরীফপুর গ্রামের লোকজন সড়কে পাশে একটি প্লাস্টিকের চালের বস্তা দেখে সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব মিয়াকে জানান। পরে হাবিব মিয়া থানা পুলিশে খবর দেন।
নিহত রাজনার চাচাতো ভাই সালমান বলেন, তার চাচাতো বোন ভোরে প্রকৃতিরডাকে সাড়া দিতে বসতঘরের পেছনে বাথরুমে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। শনিবার সন্ধ্যায় শরীফপুর গ্রামের পাশের সড়ক থেকে রাজনা আক্তারের ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে লাশ হলো স্কুলছাত্রী
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ চৌধুরী জানান, পুলিশ রাজনা আক্তারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও দুটি হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিলো। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে ময়নাতদন্তের পরে পুরো ঘটনা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার (২৩ জুলাই) সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
]]>