<![CDATA[
গজলডোবা ব্যারেজের মাধ্যমে ভারতের একতরফা পানি ছাড় ও প্রত্যাহারের কারণে বর্ষায় ভাসে বাংলাদেশ আবার গ্রীষ্মে ভোগে খরায়। এবারও তাদের একক সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে। এরইমধ্যে বাধ্য হয়ে তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেয়ায় তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এ পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করলেন দুর্গতরা।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভারতে বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হুট করেই গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয় দেশটি। এতে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক হারে। একইসঙ্গে তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলে মৌসুমের প্রথম তিন দিনের বৃষ্টিপাতে হু হু করে পানি বেড়েছে। ঢল সামলাতে লালমনিরহাটের দোয়ানীতে ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সব কটি খুলে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, ব্যারেজের গেট দিয়ে পানি পুরোপুরি ঢুকে পড়ে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৫টি গ্রাম। তলিয়ে যায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। সেইসঙ্গে ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে থাকায় মাথায় হাত কৃষকদের।
এলাকাবাসী জানায়, ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় পানি বেড়ে গেছে। আমাদের বাড়িঘরে পানি চলে এসেছে। ফসল সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা
এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেয়ার খবর আগে থেকে বাংলাদেশকে জানায় না ভারত। এজন্য প্রতি বছরের মতো ওই অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের খবর জেনে বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত হতে হয়।’
অন্যদিকে, কুড়িগ্রামেও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘর-বাড়িতে পানি না ঢুকলেও তলিয়ে গেছে পটল, ঢেঁড়সসহ নানা সবজির ক্ষেত।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, আগামী ২২ ও ২৩ জুন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
]]>