<![CDATA[
নাটোর সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের নৈশ প্রহরী সাজ্জাদ হোসেন রুবেল হত্যার জট খুলেছে। তাকে অপহরণের পর হত্যা করেন এলাকার তারেক ও হৃদয় আলী। এরপর তারা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এলাকা ছাড়েন।
হত্যার ৬ মাস পর নাটোর সদর উপজেলার রুয়ের ভাগ এলাকার অভিযুক্ত তারেকের বাড়ির পেছন থেকে শনিবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে পুঁতে রাখা সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত তারেক সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে এবং হৃদয় বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
নাটোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, নাটোর সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের নৈশ প্রহরী ও সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার সাজ্জাদ হোসেন রুবেলকে ২০২২ সালে ১১ নভেম্বর অপহরণ করেন তারেক ও হৃদয় আলী। ওই রাতেই রুবেলকে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হয় তারেকের বাড়ির ২০ গজ পেছনে। হত্যার পরদিন রুবেলের মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারেক ও হৃদয় আলী।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৪ দিন পর বাগানে সোহানের মাটি চাপা মরদেহ উদ্ধার
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কয়েক দফায় ৪০ হাজার টাকা নেন অভিযুক্তরা। এরপর রুবেলের মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান তারা। রুবেলের ফোন বন্ধ পেয়ে ২০২২ সালে ৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা রুপিজ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের পাঁচ দিন পর লিফটের চেম্বার থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা আক্তার নেলী বলেন, নাটোর সদর থানার পুলিশ এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় তদন্তভার দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে। ডিবি পুলিশের দুই সন্দেহভাজন তারেক ও হৃদয় আলী সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্রাপুর থানায় গ্রেফতার হন। নাটোর ডিবি পুলিশ সূত্রাপুর থানার পুলিশের সহায়তায় তারেক ও হৃদয় আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেড়িয়ে আসে রুবেল হত্যার রহস্য। সূত্রাপুর থানার সহযোগিতায় তাদের আনা হয় নাটোরে।
সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকায় অভিযুক্তদের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে শনিবার রাত ১০টার দিকে রুবেলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। রাতেই রুবেলের মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
]]>