Skip to content

৮৭ বছর বয়সে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে! | আন্তর্জাতিক

৮৭ বছর বয়সে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে! | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

৮৭ বছর বয়সে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিখেছেন পড়তে এবং লিখতে। গল্পটি মিশরীয় এক নারীর। বৃদ্ধ বয়সে এসে লেখাপড়ার প্রতি তার এই আগ্রহ অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আরও বহু বয়স্ক অক্ষরজ্ঞানহীনকে। খবর রয়টার্সের।

জুবাইদা আবদ ইলাল। থাকেন মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় মিনৌফিয়া শহরে। ৮৭ বছর বয়সী এ বৃদ্ধা জানতেন না পড়তে কিংবা লিখতে। কিন্তু সম্প্রতি মিশরের সরকারের উদ্যোগে বয়স্কদের জন্য পরিচালিত একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তিনি। শিখেছেন পড়াশোনা।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনা করতে চাইতেন জুবাইদা। তবে তার রক্ষণশীল বাবা চাইতেন না শিক্ষার আলো পড়ুক মেয়ের জীবনে। তাই ছেলেদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিলেও স্কুলে পাঠাননি মেয়েকে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তিনি বলেন, ‘আমি পড়াশোনা করতে চাইতাম। তবে আমার রক্ষণশীল বাবা চাইতেন মেয়েরা পড়াশোনা না করুক। যখন আমি সুযোগ পেলাম, তখন শিক্ষকরা আমাকে বাড়িতে থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাদের বলেছিলাম, আমি স্কুলে এসে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে চাই।’

আট সন্তান এবং তেরো নাতি-নাতনী রয়েছে জুবাইদার। নিজে পড়াশোনার সুযোগ না পেলেও স্কুলে পাঠিয়েছেন তার মেয়েদের। তাদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে স্কুলের সামনে রাস্তায় বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণ যেভাবে ভাসিয়ে রেখেছে ডুবুডুবু মিশরকে

জুবাইদার শিক্ষকরা জানান, তিনি পড়াশোনা করতে খুবই ভালোবাসেন। তার মূল উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট অর্জন নয় বরং প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। তার এই বয়সে এসে শিক্ষার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি সবাইকে অনুপ্রেরণা জাগাবে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *