Skip to content

গুলিস্তানের সেই ভবন মালিকসহ তিনজন গ্রেফতার | বাংলাদেশ

গুলিস্তানের সেই ভবন মালিকসহ তিনজন গ্রেফতার | বাংলাদেশ

<![CDATA[

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক দুই ভাই ও এক দোকানিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মৃত রেজাউল রহমানের ছেলে মো. ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং মালেকের ছেলে আ. মোতালেব মিন্টু।

এর আগে মঙ্গলবার তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফুলবাড়িয়া ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে হেফাজতে নিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বুধবার (৮ মার্চ) বিস্ফোরণের ঘটনায় হওয়া অপমৃত্যুর মামলায় বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার দেখানো হলো।

বুধবার ভবন মালিককে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়ে ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমরা কাউকে আটক করিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা বাড়ির মালিক, দোকান মালিকদের ডেকেছি। যারা আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলছি।’

আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। তার মৃত্যুর পর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান ভবনটির মালিক হন। এদের মধ্যে বড় ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও ছোট ভাই মতিউর রহমান ভবনটি পরিচালনা করেন। আরেক ভাই মশিউর রহমান লন্ডনপ্রবাসী। আর মোতালেব মিন্টু ওই মার্কেটের একটি দোকানের মালিক।
 

ডিবি প্রধান বলেন, ‘কার অবহেলায় এই হতাহতের ঘটনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বাইরে থেকে কেউ এটা ঘটিয়েছে কি-না বা ঘটানোর সুযোগ আছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সেখানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।

বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। বিস্ফোরণে বুধবার রাত পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানা পুলিশ। আর ঘটনাটি তদন্ত করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস ও ডিএমপির সিটিটিসি। 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *