Skip to content

দারিদ্র্যের মুখে কোটি কোটি মানুষ

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি ২০২১ সালে না হোক, ২০২২ সালে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে-এমন প্রত্যাশা অর্থনীতিবিদদের। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত করতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম বলছে, মন্দা থেকে বের হয়ে আসবে কিছু ধনী মানুষ, উল্টোদিকে অতি দারিদ্র্যের মুখে পড়বে কোটি মানুষ। এ দরিদ্রতা থাকবে ১ দশক বা ১০ বছর।

অক্সফামের নতুন প্রতিবেদন ‘অসমতার ভাইরাস’ প্রকাশিত হয়েছে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম শুরুর প্রথম দিন। চলতি বছর ভার্চুয়ালি হবে এ বৈঠক। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের ১ হাজার ধনী ব্যক্তি করোনা সংকটে যে অর্থ হারিয়ে ছিলেন, ৯ মাসেই তা ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু মহামারির কারণে দরিদ্র আর মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন জীবিকায় যে প্রভাব পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে ১০ বছর সময় লাগবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। ১৯৩০ সালের গ্রেট ডিপ্রেশনের পর্যায়ে গেছে এ আর্থিক সংকট, এ সংকট কাটিয়ে উঠতে যুদ্ধ করছেন লাখ লাখ মানুষ। হু হু করে বাড়ছে ধনী-গরিব বৈষম্য। ১ হাজার কোটিপতি যতো দ্রুত ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯ মাসে, অতি দারিদ্র্যের মুখে পড়া মানুষগুলোর এর চেয়ে ১৪ গুণ বেশি সময় লাগবে শুধু মহামারির আগে তারা যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় ফিরে আসতে। 

২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ কোটিপতিদের মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ১২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থের এ পরিমাণ জি টুয়েন্ট দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় যে অর্থ ব্যয় করেছে তার সমান। রিপোর্ট বলছে, মহামারি শুরুর পর ১০ জন ধনী ব্যক্তির অর্থ অনেক বেড়েছে। এ অর্থ দিয়ে সারাবিশ্বে প্রত্যেক মানুষের জন্য ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করা যেত। পাশাপাশি কোনো মানুষ মহামারিতে দারিদ্র্যের মুখে পড়তো না।

মহামারির কারণে গেল ৯০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ ২০২০ সালে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।

DMCA.com Protection Status

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *