<![CDATA[
পাকিস্তানের উইকেট খুবই অর্ডিনারি। এ ধরণের পিচে কখনই টেস্ট খেলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার মার্ক ওয়াহ। দেশটির এক টেলিভিশন টকশোতে লাহোর টেস্ট নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্যাটারদের জন্য মরা পিচ বানালে, রান হয়তো আসবে কিন্তু আদৌতে তা ক্রিকেটের উন্নতি হবে না বলেও মন্তব্য মার্কের।
২৪ বছর পর পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্ন ছিল, দেখা যাবে গতির লড়াই। একদিক থেকে সাদা পোশাকে আগুনে গোলা ছুঁড়বেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স। আর তার পাল্টা জবাব আসবে শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলীদের কাছ থেকে।
আর করাচির মতো ভেন্যূ হলে, বল ঘুরবে ভনভন করে। নোমান-সাজিদদের চোখে চোখ রেখে জবাব দেবেন লায়ন-সোয়েপ্সন। গতি ঘূর্ণির এসব জাদু টোনা থেকে বাঁচতে পিচ আঁকড়ে ধরে রাখবেন ওয়ার্নার-স্মিথ, আজহার-বাবররা।
কিন্তু, পিন্ডি থেকে শুরু হওয়া সফরে মন ভেঙেছে সমর্থক আর ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। উইকেটগুলোতে নেই প্রাণের ছোঁয়া। পেসারদের জন্য ছিল না সামান্যতম সাহায্যের স্পর্শ। স্পিনাররা কালেভদ্রে একটু বল ঘোরালেও, সেটা ছিল না তেমন কার্যকর। এমন নিষ্প্রাণ উইকেট দেখে তাই যারপরনাই বিরক্ত অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার মার্ক ওয়াহ।
বলেন, ‘পিন্ডি, করাচির পিচ একেবারেই অর্ডিনারি। টেস্টের জন্য এমন পিচ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পেসাররা শর্ট বল করতে পারছে না উইকেটগুলোতে। স্পিনারদের বল ঘুরছে না। এভাবে টেস্ট খেলার অর্থ কি?’
আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ হলেন জেসন রয়
চলমান লাহোর টেস্টে কিছুটা সুবিধা পেয়েছে পেসাররা। কিন্তু, সেটা একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য যথেষ্ট নয়। এখানেও সেই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরি করেছে পাকিস্তানিরা। মূলত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট খোয়ানোর ভয় থেকেই এসব উইকেট তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করেন মার্ক।
মার্ক ওয়াহ বলেন, তিন টেস্টে আমি ডজনখানের বাউন্স ডেলিভারিও দেখিনি। রিভার্স সুইং কিংবা শার্প টার্নেরও কোনো খবর নেই। এভাবে রান আসলে সেটা ব্যাটারদের স্কিল ডেভেলপমেন্টেও কোনো কাজে আসবে না। এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়।
নিজের দলের বোলারদের জন্য হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তানিদের নিয়েও আক্ষেপ ঝরেছে মার্ক ওয়াহর। শাহিন আফ্রিদির মতো বোলার থাকার পরও এমন ব্যাটিং প্যারাডাইস পেসারদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ওয়ানডের আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় দুঃসংবাদ
বলেন, শাহিনের জন্যও খারাপ লাগছে। তার মতো বোলার একটা ভালো পিচ পেল না। ভালো ব্যাটারদের সামনে নিজের সেরা ডেলিভারিগুলো করতে পারল না। পাকিস্তান ক্রিকেটের সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি নিজের বোলারদেরও ক্ষতি করল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ক্যাঙ্গারুরা। আর ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান।
]]>