Skip to content

টি-টেন লিগে ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ তথ্য পেয়েছে আইসিসি | খেলা

টি-টেন লিগে ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ তথ্য পেয়েছে আইসিসি | খেলা

<![CDATA[

আবারো ফিক্সিংয়ের কালো থাবা ক্রিকেটে। গেল বছর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগে ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ তথ্য পেয়েছে আইসিসি। যেখানে খেলেছেন সাকিব-মুস্তাফিজসহ বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। ইউরোপীয় গণমাধ্যমের দাবি, পুরো আসরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতবদল করেছে জুয়াড়িরা। এরই মধ্যে আটঘাট বেঁধে তদন্তে নেমেছে আইসিসি’র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা -আকসু।

ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ক্রিকেটের জাঁকজমক যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি বাড়িয়েছে ঝুঁকিও। নানা ইভেন্টের ভিড়ে জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্য এখন আরও বেশি। লিগগুলোতে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারা। এবারে কাঠগড়ায় টি-টেন লিগ।

আবুধাবির এই প্রতিযোগিতায় নাকি ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ তথ্য পেয়েছে আইসিসি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত কার্যক্রম। ইউরোপীয় গণমাধ্যমের দাবি, ছয়টি ঘটনাকে খতিয়ে দেখছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।

গেল বছর ২৩ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয় টি-টেন লিগ। যেখানে ৩৩ ম্যাচের মধ্যে ১২টিরও বেশি সন্দেহজনক ঘটনা পেয়েছে আকসু। যার মধ্যে অন্তত ছয়টি ঘটনাকে গুরুতর মনে হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন: আইএলটি-২০ মাতাতে তর সইছে না ইংলিশ ব্যাটারের

এমন খবর শঙ্কা জাগাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায়। কারণ আবুধাবির ওই ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। জাতীয় দলের তিন বড় তারকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের পাশাপাশি ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বাংলা টাইগার্সে সাকিব ও মৃত্যুঞ্জয়, ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সে তাসকিন ও টিম আবুধাবিতে খেলেছেন মুস্তাফিজ।

এর আগে, জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় ১ বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব। এবার টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ওই দলে খেলেছেন আগে ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার পাকিস্তানি মোহাম্মদ আমির এবং ভারতীয় শ্রীশান্তও। তাই সন্দেহের তীর বাংলা টাইগার্সের দিকেও।

আরও পড়ুন: দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে জিতল চট্টগ্রাম

অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের চার ক্রিকেটারও খেলেছেন টি-টেন লিগে। মঈন আলি, অ্যালেক্স হেলস, আদিল রশিদ এবং এই মুহূর্তে বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে অবস্থানরত ডেভিড মালান। ছিলেন থ্রি লায়নদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যানও।

ব্যাটিং-বোলিং অর্ডারে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের হস্তক্ষেপ, ইচ্ছেমতো তারকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে একাদশ সাজানো আর ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরণসহ দুই সপ্তাহে অনেক অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড আকসুর নজরে এসেছে। টি-টেন লিগের ৮ দলেরই স্পন্সর ছিলো বেটিং কোম্পানি। ইউরোপীয় গণমাধ্যমের দাবি, পুরো টুর্নামেন্টে প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা ২০০ কোটি টাকার দেনদরবার হয়েছে বলে ধারণা করছে আইসিসি।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *