Skip to content

দুই মার্কিন ব্যাংক বন্ধ: বিশ্ববাজারও কি ঝুঁকিতে? | বাণিজ্য

দুই মার্কিন ব্যাংক বন্ধ: বিশ্ববাজারও কি ঝুঁকিতে? | বাণিজ্য

<![CDATA[

তিন দিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের প্রধান ব্যাংকগুলোর। এতে করে আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরাও।

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকের পতনের পর দেশটির ব্যাংকিং খাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশ্বস্ত করলেও, কিছুতেই যেন হালে পানি পাচ্ছে না। ব্যাংকিং খাত রক্ষায় মার্কিন অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে জরুরি নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও, সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। 

এর আগে সোমবার (১৩ মার্চ) স্পেনের স্যানটানডার ও জার্মানির কমার্স ব্যাংকের শেয়ারের দর পতন হয় ১০ শতাংশের বেশি। 

তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো। সোমবার দেশটির ব্যাংকগুলোর বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৯ হাজার কোটি ডলার। এ নিয়ে গেল চার দিনে তাদের বাজার মূলধন কমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি ডলারে। 

আরও পড়ুন: ডুবল আরও এক ব্যাংক, কোন পথে মার্কিন অর্থনীতি

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো। ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ার দর ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। ব্যাংকটিতে নতুন বিনিয়োগ আসার খবরও আশ্বস্ত করতে পারছে না বিনিয়োগকারীদের। এছাড়াও ইউরোপের স্টক্স ব্যাংকিং সূচকের পতন হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও ক্রেডিট সুসির পতন হয়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে, এশিয়ায় জাপানের ব্যাংকিং উপসূচক ডট.আই.বি.এন.কে.এস ডট.টির পতন হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। 

এই যখন বাস্তবতা, তখন মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে গিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ও বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক ব্যবস্থা ও বিশ্বজুড়ে বাজারের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের সবচেয়ে বড় উদাহরণ সিলিকিন ভ্যালির মতো ব্যাংকের পতন। 

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভ যেহেতু এখনো সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে, তাই ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। মার্কিন অর্থ দফতরের নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও অচিরেই আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। 

মার্কিন কর্তৃপক্ষ সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) থেকে আমানতকারীদের অর্থ সম্পূর্ণ উদ্ধার করতে এবং গ্রাহক চাহিদা মেটাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সিগনেচার ব্যাংকের বেলায়ও।  

আরও পড়ুন: ব্যাংক দেউলিয়া হলেও জনগণের আমানত সুরক্ষিত: বাইডেন

তবে পরপর দুটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার ঘটনায় বিশ্লেষকদের অনেকে আশঙ্কা করছেন, আবারও হয়তো ২০০৭-২০০৮ সালের মতো ব্যাংকিং সেক্টরে একটি আঘাত আসতে যাচ্ছে। তবে দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এখনও সেরকম কিছু ভাবছে না। তারা বলছেন, এখনো এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *