<![CDATA[
করদাতার সংখ্যা দ্রুত বাড়ানোর লক্ষ্যে কর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য জেলা পর্যায়ে বড় বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে পেশাজীবিদের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘করদানে সক্ষম বিভিন্ন পেশাজীবি যেমন চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন মার্কেটের মালিক, শপিংমলের দোকানের মালিকসহ বিত্তবানদের খুঁজে বের করে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। সেখান থেকে সহজে বের করা যাবে কারা করজালের বাইরে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: পোশাক রফতানির উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব
রহমাতুল মুনিম আরও বলেন, কর প্রদানে সক্ষম যে ব্যক্তি করজালের বাইরে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তাই ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হওয়ার ক্ষেত্রে করদাতা হওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে অনেককেই করজালে আনা সহজ হবে বলে জানান তিনি।
কর সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে একটি কর জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে তরুণ শিক্ষার্থীরা এসে করের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবে। এছাড়া তারা অবিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ‘কর ব্যয়’ বা ট্যাক্স এক্সপেনডিউচারের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এসআরও জারি করে প্রতিবছর বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। কর অব্যাহতির এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তবে এ সংস্কৃতি থেকে একবারে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় জানিয়ে রহমাতুল মুনিম বলেন, দীর্ঘমেয়াদি কর্মকৌশল নির্ধারণ করে ধীরে ধীরে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশি জাহাজ
এদিকে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষণা সংস্থা সিপিডির প্রতিনিধি মুনতাসির কামাল বলেন, বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। এতে তিনি বিদ্যমান করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস, এসইএমই ফাউন্ডেশন, সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি ও ইআরজির প্রতিনিধিরা।
সূত্র- বাসস
]]>