<![CDATA[
মন্দা ও তীব্র ডলার সংকট মধ্যেও রমজান সামনে রেখে রেকর্ড পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। গত দেড় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা নিয়ে এসেছে ৫০টি মাদার ভ্যাসেল ও অয়েল ট্যাংকার। এরপরেও সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না ভোগ্যপণ্যের দাম।
এলসি খোলার বিধি-নিষেধের পাশাপাশি ডলার সংকটে চট্টগ্রাম বন্দরে বিলাসবহুল পণ্যবাহী জাহাজ আসা কমলেও বেড়েছে ভোগ্যপণ্যবাহী মাদার ভ্যাসেলের সংখ্যা। বিশেষ করে গত দেড় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ১২ লাখ টন ভোগ্য পণ্য নিয়ে বন্দরের প্রধান জেটি ও বহির্নোঙরে ভিড়েছে ৫০টি জাহাজ। এর মধ্যে ৩০টিতে ছিল চাল, ডাল, গম, চিনি ও ছোলা।
এদিকে বিশ্ববাজারে বর্তমানে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের বুকিং রেট নিন্মগামী। এর সুযোগ নিয়েছে আমদানিকারকরা। আমদানি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছাতে হাতবদল হয় অন্তত ৮ বার। আর প্রতি হাত বদলে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। যে কারণে রেকর্ড পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানির পরও দাম সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া কিছু পণ্যের দাম গত বছরের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা হয়েছে।
চলতি বছর রমজানে দেশে আড়াই থেকে তিন লাখ টন চিনি ও ৮০ হাজার টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। তবে গত তিন মাসে চাহিদার বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি করেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মূলত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অবৈধ মজুত ঠেকানোই প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে চিটাগং চেম্বার থেকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রসাশনকেও জিরো টলারেন্স প্রয়োগের আহ্বান করা হয়েছে।
আর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান জানান, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে এবার বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকবে না।
আরও পড়ুন: বিমার গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ৪১ দিনে আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার টন ভুট্টা, ৪৫ হাজার টন ডাল, ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন গম, ৭৮ হাজার টন চাল, ২ লাখ ৭২ হাজার টন চিনি ও ৪৬ হাজার টন ছোলা।
আর রমজানের ইফতারের জন্য ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টন খেজুর আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে ৭৮ হাজার টন গম, ১৭ হাজর টন চিনি ও ২৭ হাজার টন ছোলা খালাস পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে আসা ভোগ্যপণ্যগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত খালাস করা হচ্ছে।
]]>